শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
তিস্তা নদীর তীরে মশাল প্রজ্জ্বলন শেষে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজের সহকারী অধ্যাপক নিহত তিস্তা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল প্রজ্জ্বলন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু লালমনিরহাটে জুলাই সনদের খসড়া নিয়ে সংবাদ সম্মেলন চলমান বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে লালমনিরহাটে প্রতিবাদ সমাবেশ র‌্যাবের অভিযানে বিপুল পরিমাণ গাঁজা ও ইজিবাইক জব্দ কালবেলা ৩য় পেরিয়ে ৪র্থ বর্ষে পদার্পণে আলোচনা সভা ও কেককাটা অনুষ্ঠিত মার্শাল আর্ট কন্যা সান্ত্বনার নেতৃত্বে ইটালিতে বাংলাদেশের বিশাল সফলতা: স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জসহ ৯টি পদক অর্জন লালমনিরহাটে জামায়াতের মানববন্ধন বিএসটিআই’র মোবাইল কোর্টে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা লালমনিরহাটে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসি’র চেক হস্তান্তর
স্ত্রীর পরকীয়ার কারনে হত্যা হওয়া সেই জলিলের লাশ উত্তোলন

স্ত্রীর পরকীয়ার কারনে হত্যা হওয়া সেই জলিলের লাশ উত্তোলন

হেলাল হোসেন কবির: ১১দিন পর কবর থেকে ময়না তদন্তের জন্য সেই আব্দুল জলিলের মৃত দেহ উঠানো হলো।

 

আদালতের নির্দেশে ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদ আল সোহানের নেতৃত্বে রোববার (১ আগস্ট) সকাল ১১টায় লালমনিরহাট পৌরসভার সাপটানা কবর স্থান থেকে আব্দুল জলিলের মৃত দেহ উঠানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন লালমনিরহাট অতিরিক্ত  পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) মারুফা জামান, লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহা আলম, লালমনিরহাট সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহমুদুন নবী ও লালমনিরহাট পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রবিউল ইসলাম আউয়াল, সাংবাদিকসহ কয়েক শত উৎসুক জনতা।

 

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের অনুসন্ধানে ও আসামীদের স্বীকার উক্তি মূলক জবানবন্দিতে ২জন মিলে আব্দুল জলিলকে হত্যা করেছে বলে জানা গেছে।

 

জানা যায়, গত ২২ জুলাই রাতে লালমনিরহাট পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের মাঝাপাড়া এলাকার কাঁচামাল ব্যবসায়ী আব্দুল জলিলের মৃত্য হয়। পরের দিন সকালে লোকজনকে আব্দুল জলিলের স্ত্রী মমিনা বেগম বলেন, তার স্বামী স্ট্রোক করে মারা গেছেন।

 

পরে নামাজের জানাজা শেষে তাকে কবরে দাফন করা হয়। গত ২৪ জুলাই বিকালে মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করে বাড়িতে মিলাদ মাহফিলও করা হয়। সেখানে মরহুমের স্ত্রী, মরহুমের বড় ভাই আব্দুর রশিদের সাথে একটু কথা কাটা কাটি হয়। সেখানেই আব্দুর রশিদের সন্দেহ জাগে যে তার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে।

 

গত ২৫ জুলাই আব্দুর রশিদ লালমনিরহাট পুলিশ সুপার ও লালমনিরহাট সদর থানা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

 

তারপর আব্দুল জলিলের স্ত্রী মমিনা বেগম ও স্থানীয় ঔষধ দোকানদার গোলাম রব্বানীকে গত ২৭ জুলাই দুপুরে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে মমিনা ও রব্বানী জলিলকে হত্যার বিষয় স্বীকার করে। তারা ২জন পরকীয়া থাকার কারনে এই হত্যা করেছে বলে জানা যায়।

 

পরে মমিনা ও রব্বানী আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যার বিষয় স্বীকার করে।

 

আরও জানা যায়, লালমনিরহাট সদরের খুনিয়াগাছ এলাকার শাহার আলীর ছেলে আব্দুল জলিল প্রায় ৮বছর আগে সাপটানা মাঝাপাড়া এলাকায় স্ত্রীসহ বসবাস করে আসছেন। এদিকে মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের ঢঢ গাছ এলাকায় রমজান আলীর ছেলে তিনদীঘি বাজারের ঔষধ দোকানী গোলাম রব্বানীর সাথে মমিনার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই কারনে গত ২২ জুলাই রাতে জলিলকে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়।

 

উল্লেখ যে, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশ ময়না তদন্ত শেষে খুনিয়াগাছ গ্রামে বাড়িতে নামাজের জানাজা শেষে পারিবারিক করব স্থানে দাফন করা হবে বলে জানা যায়।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone